বগুড়া জেলায় সারের কোনো সংকট নেই

ষ্টাফ রিপোর্টারঃ বগুড়ায় এ মুহূর্তে সারের কোনো সংকট নেই বলে জানিয়েছে জেলা কৃষিস্প্রসারণ অধিদপ্তর। জলবায়ু পরিবর্তনে বৃষ্টিশূন্য দিন অতিবাহিত করছে আমন চাষিরা। আমন ফসল বাঁচাতে সকাল থেকে মাঠে মাঠে সেচ যন্ত্র সক্রিয় হয়ে ওঠে। সব ধরনের সারের পর্যপ্ত মজুত আছে বলে জানায় কৃষিস্প্রসারণ অধিদপ্তর।

জেলা কৃষিস্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত উপ-পরিচালক এনামুল হক জানান, কৃষি বান্ধব সরকারকে বেকাদায় ফেলতে সার না পাওয়ার গুজব ছড়িয়ে কৃষকদের দ্রুত সার সংগ্রহ করার জন্য ডিলারের দোকানে পাঠানো হচ্ছে। ভবিষতে সার না পাওয়া যাবার আশংকায় অনেক কৃষক সেই কুচক্রি মহলের কথায় বিশ্বাস করে আলু মৌসুমের সারও এখন সংগ্রহ করে রাখছেন।

এনামুল হক জানান, এই পরিস্থিতিতে কৃষকরা প্রয়োজনের অতিরিক্ত সার সংগ্রহর জন্য এক সাথে সারের ডিলারের দোকানে ভীড় করছে। বগুড়ার শাজাহানপুরের কৃষক আহাম্মাদুর রহমান জানান, তারা সরকার নির্ধারিত মূল্যে সার পাচ্ছেন। সারে কোনো সমস্যা নেই। আকাশ থেকে বৃষ্টি হলে ক্ষেতে নাইট্রেজেনের অভাব পূরণ হবে। তখন অতিরক্ত সারও লাগবে না।

জেলায় বিসিআইসি কাছে এখনও ১২০৫ মেট্রিক টন সার মজুত আছে। এ ছাড়া অতিরিক্ত চাহিদার ভিত্তিতে আরো ২০০০ হাজার মেট্রিক টন এসে পৌঁছেছে। আরো অতিরিক্ত সারের চাহিদা পাঠানো হয়েছে। তা অচিরে আসবে বলে জানান জেলা প্রশাসক মো. জিয়াউল হক।

কৃষি বিভাগ জানায় প্রতি মাসেরটা প্রতি মাসে সার বরাদ্দ পাওয়া যায়। এ ছাড়া এক জেলার সার অন্য জেলায় নিয়ে বেশি দামে বিক্রি করার বিষয়ে কঠোর পদক্ষেপ নেয়ায় অতিরিক্ত মুনাফার পথ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় তারাও এই অপকৌশলে যোগ দিয়েছে।

জেলার কৃষি কর্মকর্তারা জানান, আমন মৌসুমে (জুলাই ,আগস্ট ও সেপ্টেম্বর ) মাসে জেলায় প্রয়োজন পড়ে ২০ হাজার ৭৭৪ মেট্রিক টন। এ পর্যন্ত গত দুই মাসে (জুলাই ও আগস্ট) ইউরিয়া সার এসেছে ১৪ হাজার ৬১ মেট্রিক টন। আগস্ট মাসে আসবে আরো ৬৭০০ মেট্রিক টন সার। এ ছাড়া চাহিদার অতিরিক্ত ২ হাজার মেট্রিক টন সার এসেছে। মোট সার পাওয়া যাবে ২২ হাজার ৭৬১ মেট্রিক টন।

সম্প্রতি বগুড়ায় এক বিএনপি নেতার গুদাম থেকে এরুলিয়ায় প্রায় ১২ থকে ১৫ হাজার মেট্রিক টন যে অবৈধ মজুদ সার আটক হয় তা বগুড়ার একটি রাজনৈতিক দলের সমর্থকের গুদাম। সংশ্লিষ্টরা মনে করেন, সারের সংগ্রহ করে বিভিন্ন স্থানে সারের মজুত গড়ে তোলার খবর পাওয়া যাচ্ছে। এটাকে রাজনৈতিক ইস্যু হিসাবে দাঁড় করানোর চেষ্ট চলছে। মাসের বরাদ্দ মাসে দেয় বিসিআইসি।এ ছাড়া বছরে সারের চাহিদা সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়ে দেয় কৃষি বিভাগ। জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সার নিয়ে গুজবে কান না দেয়ার জন্য কৃষকদের আহ্বান জানিয়। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে গুজবে কান না দেয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে।

 

Please follow and like us:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

পুরানো সংবাদ