বিশ্বকাপের বাকি এক মাস, প্রস্তুত কাতার

বগুড়া নিউজ ২৪ঃ প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপ আয়োজনকে ঘিরে এখন ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছে মধ্যপ্রাচ্যের দেশকাতার, আয়োজক কমিটি। সঙ্গে বিশ্ব ফুটবলের নিয়ন্ত্রণ সংস্থা ফিফারও ব্যস্ততা বেড়ে গেছে। চার বছর অন্তর বিশ্ব ক্রীড়াঙ্গনের সবচেয়ে আকর্ষণীয় এই প্রতিযোগিতাকে নিয়ে সারা বিশ্ব যেমন মেতে ওঠে, ঠিক তেমনি আয়োজক দেশের সামনে চ্যালেঞ্জ থাকে কিভাবে নিজেদের সবার থেকে এগিয়ে নেওয়া যায়। কাতারও তার ব্যতিক্রম নয়।

তেলসমৃদ্ধ বিশ্বের অন্যতম ধনী এই দেশটি বিশ্বকাপ আয়োজনের স্বত্ব পাওয়ার পর থেকে নিজেদের পরিকল্পনা বাস্তবায়নে কাজ শুরু করে দিয়েছিল। এখন অপেক্ষা সারা বিশ্বের সামনে নিজেদের পরিশ্রমকে সফল প্রমাণের। ইতোমধ্যেই বিশ্বকাপের জন্য প্রায় ৩ মিলিয়ন টিকিট বিক্রি হয়ে গেছে। আগামী ২০ নভেম্বর উত্তরাঞ্চলীয় বন্দর নগরী আল-খোরের আল বায়াত স্টেডিয়ামে ইকুয়েডর বনাম স্বাগতিক কাতারের মধ্যকার ম্যাচ দিয়ে পর্দা উঠবে মধ্যপ্রাচ্য বিশ্বকাপের।

ফিফা সভাপতি গিয়ান্নি ইনফান্তিনো বলেছেন, ‘আমরা সব সময় বলেছি কাতার এ যাবতকালের সেরা বিশ্বকাপ উপহার দেবে। এই মুহূর্তে দেশটির দিকে তাকালেই তার প্রমাণ পাওয়া পাওয়া যায়। স্টেডিয়ামগুলোকে ঘিড়ে নির্মাণযজ্ঞ, অনুশীলন মাঠ, মেট্রো, অবকাঠামো- সব মিলিয়ে সবাইকে স্বাগত জানাতে কাতার পুরোপুরি প্রস্তুত। পুরো বিশ্ব এখন মাঠের লড়াইয়ের অপেক্ষায়। কাতার প্রস্তুত, বিশ্বকাপের মঞ্চ প্রস্তুত, ফিফাও প্রস্তুত। সবাই মিলে আমরা এখন সেরা একটি বিশ্বকাপ সবাইকে উপহার দেওয়ার দ্বারপ্রান্তে রয়েছি।’

দোহায় অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে আয়োজকরা জানিয়েছেন আট স্টেডিয়ামে আয়োজিত ৬৪টি ম্যাচের জন্য ২.৮৯ মিলিয়ন টিকিট বিক্রি হয়ে গেছে। ফুটবল পাগল জাতি হিসেবে পরিচিত ইংল্যান্ড, মেক্সিকো, যুক্তরাষ্ট্র, সংযুক্ত আরব আমিরাত, আর্জেন্টিনা, ব্রাজিল, ফ্রান্স, জার্মানি ও স্বাগতিক কাতারের ম্যাচগুলোর জন্যই টিকিটের চাহিদা সবচেয়ে বেশি।

আয়োজকরা আরও জানিয়েছেন, বিদেশি সমর্থকদের কাতারে প্রবেশের জন্য হায়া কার্ড অনুমতি হিসেবে কার্যকর হবে। এই কার্ডের মাধ্যমে গণপরিবহনে বিনা টিকিটে ভ্রমণ ও স্টেডিয়ামে ম্যাচ টিকিটের পাশাপাশি প্রবেশের জন্য কার্যকর হিসেবে গণ্য হবে।

ফিফা বিশ্বকাপের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কলিন স্মিথ বলেছেন, ‘বিশ্বকাপ উপলক্ষে আমরা ১৬৮টি অফিসিয়াল সাইট চালু করেছি এবং এর মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট সবাইকে প্রয়োজনীয় সেবা প্রদান করে যাচ্ছি। আটটি স্টেডিয়াম, স্বেচ্ছাসেবক, এক্রিডিটেশন সেন্টারগুলো পুরোপুরি কার্যক্রম শুরু করে দিয়েছে। টিকেটিং সেন্টার কাল থেকে কাজ শুরু করবে। প্রধান তথ্য কেন্দ্র (মেইন মিডিয়া সেন্টার) ও আইবিসিও পর্যায়ক্রমে খুল দেয়া হবে। বিশ্বের অন্যতম সেরা একটি বিশ্বকাপ আয়োজনে যা যা প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে সেগুলোর প্রতি এখন শুধু ফিফার আত্মবিশ্বাস ও গভীর উপলব্ধির প্রয়োজন। প্রায় এক দশকেরও বেশি সময় ধরে কঠোর পরিশ্রমের ফল পেতে যাচ্ছে কাতার। এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট স্টেকহোল্ডারদেরও অবদান রয়েছে।

Please follow and like us:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

পুরানো সংবাদ