বগুড়া নিউজ ২৪ঃ জাপানের দক্ষিণে আঘাত হেনেছে শক্তিশালী টাইফুন নানমাডল। এর প্রভাবে ঘণ্টায় ১৮০ কিলোমিটার (১১২ মাইল) বেগে বাতাসের সঙ্গে টানা বৃষ্টি হচ্ছে কিউশু দ্বীপে। আবহাওয়া অফিস বলছে, আগামী ২৪ ঘণ্টায় ৫০০ মিমি মিটার (২০ ইঞ্চি) বৃষ্টিপাত হতে পারে ওই এলাকায়।
বৃষ্টির কারণে বন্যা ও ভূমিধসের আশঙ্কায় আছে কর্তৃপক্ষ। দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ায় বুলেট ট্রেন পরিষেবা, ফেরি এবং শত শত ফ্লাইট ইতোমধ্যেই বাতিল হয়েছে। নিরাপদে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে অন্তত ৪০ লাখ মানুষকে।
টাইফুনটি জাপান সময় রোববার সকালে কিউশুর দক্ষিণ প্রান্তে কাগোশিমা শহরের কাছে আছড়ে পড়ে।
দক্ষিন জাপানের চারটি দ্বীপের একটি কিউশু। ১ কোটি ৩০ লাখ জনসংখ্যার দ্বীপটি জাপানের মূলভূখণ্ডকে দক্ষিণের সঙ্গে যুক্ত করেছে।
জাপানের আবহাওয়া অফিস শুরুতে বিশেষ সতর্কতা জারি করেছিল কিউশু দ্বীপে। তারা আশঙ্কা করেছিল, টাইফুনের কারণে প্রবল বৃষ্টির পাশপাশি উপকূলে ঝড় হতে পারে। শক্তিশালী বাতাসের কারণে বাড়িঘর ভেঙে পড়ার আশঙ্কাও ছিল।
টাইফুনটি এখন কিউশু ওপর দিয়ে উত্তর দিকে এগোচ্ছে। এতে দ্বীপের পাহাড়ী অঞ্চলে প্রবল বৃষ্টিপাত হচ্ছে। এটি আগামী কয়েক দিনে রাজধানী টোকিও দিকে অগ্রসর হবে। সময়ের সঙ্গে ঝড়টি আরও শক্তিশালী হবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
টাইফুলের প্রভাবে টানা বৃষ্টিতে ইতোমধ্যে নদীর পানি বাড়তে শুরু করেছে; যা ভূমিধস ঘটাতে পারে। কিউশুর বাসিন্দাদের আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থান নিতে বলেছে কর্তৃপক্ষ।
নানমাডল চলতি মৌসুমের ১৪ নম্বর প্রশান্ত মহাসাগরীয় টাইফুন। এটি জাপানে আঘাত হানা সবচেয়ে শক্তিশালী টাইফুন হতে যাচ্ছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
জাপানের আবহাওয়া অফিসের এক কর্মকর্তা বলেন, এবারের ঝড়টি ২০১৮ সালের টাইফুন জেবি এবং ২০১৯ সালে টাইফুন হাগিবিসের চেয়েও মারাত্মক হতে পারে। জেবির তাণ্ডবে ১৪ জনের মৃত্যু হয়েছিল; ব্যাপক বিদ্যুৎ বিপর্যয় সৃষ্টি করেছিল হাগিবিস।