নওগাঁয় তীব্র শীতে জনজীবন বিপর্যস্ত

বগুড় নিউজ ২৪ ঃ তীব্র শীতে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন নওগাঁর মানুষের জনজীবন। তাপমাত্রা কমে যাবার সঙ্গে সঙ্গে ঠাণ্ডা বাতাস যোগ হওয়ায় তীব্র হয়ে উঠেছে শীত। হাসপাতালগুলোতে বেড়ে গেছে ঠাণ্ডাজনিত রোগী। সবচেয়ে বেশি কষ্টে রয়েছে শিশু ও বয়স্করা। নওগাঁয় শুক্রবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৯ ডিগ্রী সেলসিয়াস। এতে কাবু হয়ে অনেকেই শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন আগুন জ্বালিয়ে।
হাড় কাঁপানো শীতে নাজেহাল হলেও, জীবিকার তাগিদে ছুটছেন কর্মজীবী মানুষ। শীতার্তদের কষ্ট কমাতে সমাজের বিত্তবানদের এগিয়ে আসার আহ্বান স্থানীয়দের।
শীতের কারণে বৃদ্ধ ও শিশুরা বিপাকে পড়েছে। গরম কাপড়ের অভাবে অসহায় পরিবারগুলো আজ ভোগান্তিতে পড়েছে। তবে বিভিন্ন স্থানে সরকারি ও বেসরকারী পর্যায়ে শীতবস্ত্র হিসেবে কম্বল বিতরণ পুরোদমে চলছে।
জানা গেছে,বুধবার মধ্যরাত থেকে শুক্রবার দুপুর পর্যন্ত ঘন কুয়াশার কারণে সূর্যের দেখা মিলেনি যার কারনে শীতের তীব্রতা বেড়ে গেছে। শৈত্যপ্রবাহের ফলে মানুষ জরুরী প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের হচ্ছে না। হটাৎ করে শীতের তীব্রতা বেড়ে যাওয়াই খেটে খাওয়া শ্রমজীবি মানুষরা সবচেয়ে বেশি বেকায়দায় পড়েছে। এছাড়া শীতের কারণে বৃদ্ধ ও শিশুরা অসহায় জীবন যাপন করছে। গরম কাপড়ের অভাবের ছিন্নমুল মানুষ বেশি কষ্ট পাচ্ছে।
বাস,ট্রাক ও অন্যান্য যানবাহন হেড লাইট জ্বালিয়ে চলাচল করছে। তবে রিক্স,ভ্যান,অক্টো চার্জারের যাত্রী ও চালকরা প্রয়োজনের তাগিদে ঘন কুয়াশার মধ্যে চলাচল করতে হচ্ছে। এদিকে গবাদি পশু তীব্র শীতের মধ্যে গো খাদ্য সংগ্রহের জন্য খোলা মাঠে চড়ানো হচ্ছে। স্থানীয় আরজি নওগাঁ গ্রামের কৃষক লিটন হোসেন বলেন,প্রচন্ড শীতের কারণে মাঠে কাজ করা যাচ্ছে না। দিনরাত সমান শীতের কারণে তিনি কাহিল হয়ে পড়েছি।
নওগাঁ সদরের কুমাইগাড়ীর ভ্যান চালক রহিদুল আলম বলেন, খুব শীত বাবা কাজ করতে পারছিনা ঠিক মত গতকাল উপজেলা থেকে কম্বল পেয়েছি । গরিব মানুষ কাজ না করলে খাবো কি যত কষ্টই হোক কাজ তো করতেই হবে।

নওগাঁ সদর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা প্রকৌশলী মো.মাহবুবুর রহমান জানান, নওগাঁ সদর উপজেলার ১২টি ইউনিয়নে সরকারের পক্ষ প্রতিটি ইউনিয়নে ৪৬০ পিচ কম্বল বিতরণ কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে। আরও বরাদ্দের জন্য আবেদন করা হয়েছে।
নওগাঁ সদর হাসপাতালের আরএমও ডা. মুনির আলী আকন্দ বলেন, গত তিন দিনে নওগাঁয় তীব্র শীতের কারণে অনেকে ঠান্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে পড়ছে। ডায়রিয়ায় আক্রান্ত আগের চেয়ে অনেক বেশি রোগী হাসপাতালে সেবা দেয়া হচ্ছে। এছাড়া ঠান্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত এবং এ্যাজমা রোগিদেরকে বিশেষ সেবা প্রদানের প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। তবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।

Please follow and like us:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

পুরানো সংবাদ
সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১১২১৩১৪১৫
১৬১৭১৮১৯২০২১২২
২৩২৪২৫২৬২৭২৮২৯
৩০৩১