উচ্ছেদ করা হলো সৈয়দপুরে রেললাইনের দুই পাশের আড়াই শতাধিক অবৈধ স্থাপনা

বগুড়া নিউজ ২৪ঃ নীলফামারীর সৈয়দপুর শহরে প্রায় দুই কিলোমিটার এলাকায় রেললাইনের দুই পাশে গড়ে উঠা আড়াই শতাধিক অবৈধ কাঁচা-পাকা স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে।আজ বৃহস্পতিবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত  অভিযান চালিয়ে ওই সব কাঁচা-পাকা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে রেলওয়ের সংশ্লিষ্ট বিভাগ।বাংলাদেশ রেলওয়ের সৈয়দপুরের ঊর্ধ্বতন উপ-সহকারী প্রকৌশলী (পথ) মো. সুলতান মৃধা নেতৃত্বে সৈয়দপুর- পার্বতীপুর রেলওয়ে লাইনের সৈয়দপুর শহরের দুই নম্বর রেলগেট থেকে হাতিখানা বানিয়াপাড়া পর্যন্ত ওই অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানে রেলওয়ের উর্ধ্বতন উপ-সহকারি প্রকৌশলীর দপ্তরের লোকজন মাথায় লাল ফিতা বেঁধে হাতে সাবল, হাতুড়ি, সেনিসহ উচ্ছেদ কাজে ব্যবহৃত বিভিন্ন উপকরণসামগ্রী নিয়ে ওই উচ্ছেদ অভিযান চালায়। এ সময় সৈয়দপুর রেলওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আব্দুল্লাহ- আল মামুনসহ বিপুল সংখ্যক পুলিশ সদস্য উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ রেলওয়ের সৈয়দপুরের ঊর্ধ্বতন উপ-সহকারী প্রকৌশলী (পথ) মো. সুলতান মৃধা জানান, রেললাইনের দুই পাশ ঘেঁষে গড়ে উঠা অবৈধ কাঁচা পাকা স্থাপনার কারণে স্বাভাবিক ট্রেন চলাচল যেমন ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছিল। মারাত্মক ট্রেন দুর্ঘটনার আশঙ্কাও ছিল। এ সব অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে তিনি গত ৩০ জুন পাকশী রেলওয়ের সংশ্লিষ্ট দপ্তরে একটি পত্র দেন।  কিন্তু গত ৫/৬ মাসেও এ সব অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে কার্যকরী কোন পদক্ষেপ গ্রহন করা হচ্ছিল না।  পরবর্তীতে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে আজ বৃহস্পতিবার সৈয়দপুর রেলওয়ে থানা পুলিশের সহযোগিতায় রেলওয়ে লাইনের দুই পাশের আড়াই শতাধিক অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়। তবে গত কয়েক দিন আগে এসব অবৈধ স্থাপনার মালিকদের মৌখিকভাবে তাদের স্থাপনা সরিয়ে নিতে বলা হয়েছিল বলে জানান তিনি। এর পরিপ্রেক্ষিতে অনেক মালিকরাই আগেভাগেই রেলওয়ে লাইনের দুই পাশে থাকা তাদের অবৈধ স্থাপনা সরিয়ে নেয়। তবে অনেকের অভিযোগ উচ্ছেদ অভিযানে প্রাক্কালে রেললাইনের দুই পাশের কাঁচা-পাকা অবৈধ স্থাপনা সরিয়ে নেওয়া হয় ঠিবই। কিন্তু পিকআপ স্ট্যান্ড সরিয়ে নেওয়া হয়নি অদ্যাবধি।

সৈয়দপুর – পাবর্তীপুর রেলপথের নীলফামারীর সৈয়দপুর শহরের দুই নম্বর রেলওয়ে গেট থেকে দক্ষিণের হাতিখানা বানিয়াপাড়া পর্যন্ত প্রায় দুই কিলোমিটার রেল লাইন ঘেঁষে দুই পাশে গড়ে উঠেছে অসংখ্যক অবৈধ স্থাপনা। এসব অবৈধ স্থাপনার মধ্যে রয়েছে হোটেল-রেস্তোরাঁ, বেডিং দোকান, কামার,স্বর্ণকার,মাংস, ট্রাঙ্ক-বালতির কারখানা, কাগজের বাক্স তৈরি কারখানা, টেইলার্স, আসবাবপত্র তৈরি কারখান প্রভূতি। এতে  করে ট্রেন চলাচল মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠে। এ নিয়ে বিভিন্ন জাতীয় ও আঞ্চলিক দৈনিক ও  সাপ্তাহিক  পত্রিকায় সচিত্র প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। আর এ সংবাদটি নজরে পড়ে রেলওয়ের সংশ্লিষ্ট উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের। উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে গতকাল বৃহস্পতিবার উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে।

 

Please follow and like us:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

পুরানো সংবাদ