বগুড়া নিউজ ২৪ঃ করোনার আতঙ্কে সর্দি-কাশি হলেই মনের মধ্যে ভয় কাজ করে। তবে সাধারণ ও করোনার ঠাণ্ডা-কাশির মধ্যে রয়েছে পার্থক্য। সাধারণ সর্দি-কাশি হলে অনেকেই ওষুধ সেবন করেন। যার ফলে সুস্থতাও লাভ হয়।
তবে ওষুধ ব্যবহারের ফলে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও হয়। দেখা দিতে পারে মাথাঘোরা, দুর্বলতা এবং ক্ষুধামন্দাও। তাই সর্দি-কাশিতে ওষুধ না খেয়ে ভরসা রাখুন প্রাকৃতিক উপাদানের উপরে। যা আপনি ঠাণ্ডা-কাশির প্রতিকারক হিসেবে বাড়িতেই তৈরি করতে পারবেন। চলুন তবে জেনে নেয়া যাক দ্রুত ঠাণ্ডা-কাশি সারানোর চার উপায়-
বাষ্পীয় থেরাপি
ঠাণ্ডা-কাশি প্রতিকারে একটি সাধারণ ও প্রাচীন চিকিৎসা ইনহেলিং সিস্টেম। একটি পাত্রভর্তি গরম পানি নিন। এবার তোয়াল দিয়ে মুখ ঢেকে নিয়ে শ্বাস নিন। এই প্রক্রিয়াটি নাকে কফ জমা, সাইনাসের চাপ কমানোর কার্যকরী চিকিৎসা। বিকল্প হিসেবে গরম পানিতে গোসল করতে পারেন।
এক কোয়া রসুনের বিস্ময়
চিকিৎসকরাও রসুন খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। রসুনে উচ্চমাত্রায় অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে। এটি গলাব্যথা, কফ এবং সাধারণ ফ্লু থেকে মুক্তি পেতে সাহায্য করে। তবে কুসুম গরম পানিতে লবণ মিশিয়ে গার্গল করলে সাধারণ ফ্লু থেকে দ্রুত প্রতিকার পাওয়া যায়। এছাড়া এক চিমটি লবণ আর রসুন সত্যিই সিজনাল ফ্লু থেকে মুক্তি পেতে সাহায্য করে।
হারবাল টি
কুসুম গরম পানি ঠাণ্ডা থেকে মুক্তি দিতে পারে। তাছাড়া দারুচিনি, আদা, মধু ও লেবু প্রাকৃতিকভাবেই উষ্ণ, এর তৈরি হারবাল টি সহজেই সর্দি প্রতিকার করতে পারে।
তিসি ও লেবুর রস
তিসির বীজে উচ্চমাত্রায় অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান রয়েছে। এর সঙ্গে লেবু মিশিয়ে জুস তৈরি করে খেলে ঠাণ্ডা কমাতে সাহায্য করে। লেবুর জুসের সঙ্গে তিসি মিশিয়ে খান। এই মিশ্রণটি ব্যথা উপশমে বেশ কার্যকরী।