বগুড়া নিউজ ২৪ঃউজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও ভারী বর্ষণে বগুড়ার ধুনটে যমুনা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার ৪০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে ধুনট উপজেলার ভান্ডারবাড়ী ইউনিয়নের বণ্যা নিয়ন্ত্রন বাধের পূর্ব পাশে অবস্থিত ১২টি গ্রামের মানুষ পানি বন্দি হয়ে পড়েছে।
বন্যাকবলিত গ্রামগুলো হলো- বৈশাখী, শহড়াবাড়ী, নিউসারিয়াকান্দি, শিমুলবাড়ী, বানিয়াজান, কৈয়াগাড়ী, ভান্ডারবাড়ী, ভুতবাড়ী, পুকুরিয়া, রড়ইতলী, আটাচর ও রাধানগর।
এসব গ্রামের ঘরবাড়িতে বণ্যার পানি প্রবেশ করায় বন্যা কবলিতরা আসবাবপত্র, গরু-ছাগল, হাসমুরগী সহ নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র নিয়ে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ সহ নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নিয়েছে। পানি বৃদ্ধির সাথে সাথে বন্যা নিয়ন্ত্রন বাঁধ ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে। এছাড়া বন্যার পানিতে চরাঞ্চলের শতাধিক হেক্টর জমির ধান, পাট, কউন, তিল, মরিচ সহ বিভিন্ন শাক সবজি ক্ষেত তলিয়ে গেছে। তাছাড়া ভান্ডারবাড়ী ইউনিয়নের শিমুলবাড়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও শহড়াবাড়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় তলিয়ে গেছে।
বগুড়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী মাহবুবর রহমান বলেন, রবিবার বিকেল ৫টা পর্যন্ত ধুনটের সীমানায় যমুনা নদীর পানি বিদপসীমার ৪০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। যমুনায় পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় বন্যা পরিস্থিতির ক্রমেই অবনতি ঘটছে। একারনে সারিয়াকান্দি থেকে ধুনট পর্যন্ত বন্যা নিয়ন্ত্রন বাঁধ সব সময় পর্যবেক্ষন করা হচ্ছে।