জুম মিটিংয়ে ৫৭ লাখ টাকা খরচের ব্যাখ্যা চাইলেন পরিকল্পনা মন্ত্রী

বগুড়া নিউজ ২৪ঃ পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগের বিরুদ্ধে ভার্চুয়াল মিটিংয়ের ব্যয় নিয়ে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। করোনাকালে অনলাইনে মিটিং (জুম মিটিং) করে ৫৭ লাখ টাকা খরচ দেখানো হয়েছে।

বাইরের একটি প্রতিষ্ঠান এই জুম মিটিংয়ের আয়োজন করে নিয়েছে প্রায় ১১ লাখ টাকা। পাশাপাশি মিটিংয়ের খাবার বিল দেখানো হয়েছে ৪ লাখ ৩২ হাজার টাকা। এ ছাড়া কলম, ফোল্ডার, প্যাড, ব্যাগ ইত্যাদি খরচ দেখিয়েও বিল করা হয়েছে।

গত ১১ জুলাই দেশের একটি ইংরেজি দৈনিক এসব তথ্য তুলে ধরে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে।

ওই প্রতিবেদন প্রসঙ্গে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, আমি এ ব্যাপারে আইএমইডি সচিব আবুল মনসুর মো. ফয়জুল্লাহর সঙ্গে কথা বলেছি। তিনি জানিয়েছেন, করোনার আগে যে মিটিং হয়েছিল, সেই মিটিংয়ের জন্য তারা এই বিল পরিশোধ করেছেন। মানে, যখন মানুষ মিটিংয়ে উপস্থিত হয়ে মিটিং করতো, সেটা বিবেচনায় পেমেন্ট করেছে। তারপরও আমি সচিবের কাছ থেকে লিখিত রিপোর্ট চেয়েছি।

উল্লেখ্য, জুম মিটিংয়ের ওয়েবসাইট অনুযায়ী, জুম মিটিংয়ে ১০০ ব্যক্তি অংশ নিতে পারবেন, এমন প্যাকেজে এক মাসে খরচ হবে ১৪ দশমিক ৯৯ ডলার। ক্ষুদ্র ও মাঝারি মানের ব্যবসা মিটিংয়ের জন্য এক মাসে ১৯ দশমিক ৯৯ ডলার খরচ। তাতে ৩০০ ব্যক্তি অংশ নিতে পারবেন। এছাড়া আরও বেশকিছু প্যাকেজ আছে।

Please follow and like us:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

পুরানো সংবাদ