প্রতিমা বিসর্জনের মধ্যদিয়ে শেষহলো শারদীয় দূর্গাউৎসব

ষ্টাফ রিপোর্টারঃ বিজয়া দশমীর আনুষ্ঠানিকতা শেষে প্রতিমা বিসর্জনের মধ্যদিয়ে বগুড়ায় শেষ হলো শারদীয় দূর্গাউৎসব। সোমবার দুপুর থেকেই বিভিন্ন পূজা মন্ডপ থেকে বিসর্জনের জন্য ট্রাকবাহী প্রতিমা নিয়ে ঢাক-ঢোল বাজিয়ে পূজারী ও ভক্তরা জড়ো হতে শুরু করে ঘাটে। এরপর বিকেলের শেষপ্রান্তে শুরু হয় প্রতিমা বিসর্জনের পালা। প্রতিমা ঘাটে নেওয়ার পর ভক্তরা শেষবারের মতো ধূপধুনো নিয়ে আরতি করেন। শেষে পুরোহিতের মন্ত্রপাঠের মধ্য দিয়ে দেবীকে বিসর্জন দেওয়া হয়।
বগুড়া শহরের দত্তবাড়ি পানিরট্যাংকি লেনে কদমতলা ঘাটে এবছর ১৩ টি প্রতিমা বিসর্জন দেয়া হয়েছে। বগুড়া পৌরসভার ৩ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলের তরুন কুমার চক্রবর্তীর তত্বাবধানে এইঘাটে প্রতিমাগুলি বিসর্জন দেয়া হয়। এসময় বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ বগুড়া জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক ও জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাগর কুমার রায় উপস্থিত ছিলেন।

সোমবার মহাদশমীতে দুর্গতিনাশিনী দেবী দুর্গাকে বিসর্জনের মধ্যে দিয়ে শেষ হয় বাঙালি হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব পাঁচ দিনব্যাপী দুর্গাপূজা। দুর্গার বিদায় উপলক্ষে সকাল থেকে বিদায়ের সুর বেজে উঠে বিভিন্ন মন্ডপে।
এবার সপ্তমী শুক্রবার হওয়ায় হিন্দু বিশ্বাস অনুযায়ী দুর্গা এবার এসেছিলেন দোলায় চেপে। আর সোমবার দশমীতে দেবালয়ে ফিরলেন হাতির পিঠে চড়ে। দোলায় আগমন নিয়ে শাস্ত্রে বলা হয়েছে, ‘দোলায়াং মরকং ভবেৎ’; অর্থাৎ মহামারী, ভূমিকম্প, যুদ্ধ, মন্বন্তর, খরার প্রভাবে অসংখ্য মানুষের মৃত্যু তো ঘটাবেই, আবার সেই সঙ্গে ক্ষয় ক্ষতিও হবে। এ বিষয়ে হিন্দু শাস্ত্র বলছে, ‘দোলায়াং মরকং ভবেৎ’। অর্থাৎ, দেবী পালকিকে চড়ে মর্ত্যে এলে তার ফল হয় বহু মৃত্যু ৷ তা হতে পারে মহামারী, ভূমিকম্প, যুদ্ধ, মন্বন্তর, খরার প্রভাবে। আর হাতিতে চড়ে দেবী বিদায়ের ফল হয়- ‘গজে চ জলদা দেবী শস্যপূর্ণা বসুন্ধরা’ ৷ অর্থাৎ তাতে পৃথিবীতে জলের সমতা বজায় থাকে এবং শস্য ফলন ভালো হয় ৷ সুখ সমৃদ্ধিতে পরিপূর্ণ হয় মর্ত্যভূমি ৷সনাতন ধর্মের বিশ্বাস অনুযায়ী, এক বছর পর নতুন শরতে আবার দেবী আসবেন ‘পিতৃগৃহ’ এই ধরণীতে।

Please follow and like us:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

পুরানো সংবাদ