বগুড়ায় চার শিক্ষার্থীকে ছুরিকাঘাতের ঘটনায় গ্রেপ্তার ১

ষ্টাফ রিপোর্টারঃ বগুড়ায় একঘণ্টার ব্যবধানে সরকারি আজিজুল হক কলেজের শিক্ষার্থীসহ চার শিক্ষার্থীকে ছুরিকাঘাতের ঘটনা ঘটেছে। বর্তমানে তারা বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থা আছেন। ২৬ অক্টোবর  বুধবার দুপুরে শহরের তিনমাথা আদর্শ ডিগ্রী মহাবিদ্যালয় ও শহরের আমতলা মোড়ে এ ঘটনা ঘটে।

চার শিক্ষার্থীকে ছুরিকাঘাতের ঘটনায় ১৭ বছর বয়সী এক কিশোরকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বুধবার (২৬ অক্টোবর) বিকেল ৪ টার দিকে শহরের বীর মুক্তিযোদ্ধা হাছেন আলী মার্কেট থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। সে বগুড়া সদর উপজেলার বাসীন্দা।

পুলিশ জানায়, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তার কিশোর জানিয়েছে ছিনতাইয়ের উদ্দেশ্য সে ও তার তিন সহযোগী এ ঘটনা ঘটিয়েছে। তবে পুলিশের দাবি, এই ঘটনায় শুধু তিনজন নয় আরও একাধিক সদস্য জড়িত থাকতে পারে। বিষয়গুলো নিশ্চিত করেছেন স্টেডিয়াম পুলিশ ফাঁড়ির  ইনচার্জ (ইন্সপেক্টর) হরিদাস মন্ডল।

ছুরিকাহত চারজন শিক্ষার্থী হলেন, সরকারি আজিজুল হক কলেজের বাংলা বিভাগের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী মো.তুষার (২০), সরকারি শাহ সুলতান কলেজের উচ্চ মাধ্যমিকের শিক্ষার্থী সোহান আলী (১৯), পল্লীমঙ্গল উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণীর শিক্ষার্থী মো. রাশেদ (১৮) ও ক্যাডেট মাদ্রাসা পালশার দশম শ্রেণীর শিক্ষার্থী মো. সাকিব (১৬)। এদের মধ্যে সরকারি আজিজুল হক কলেজের শিক্ষার্থী তুষারকে দুপুর দেড়টার দিকে শহরের আমতলা মোড় ও বাকি তিনজনকে আড়াইটার দিকে আদর্শ ডিগ্রী মহাবিদ্যালয়ের সামনে ছুরিকাঘাত করা হয়।

সরকারি আজিজুল হক কলেজের বাংলা বিভাগের ছুরিকাহত শিক্ষার্থী তুষার জানান, দুপুর দেড়টার দিকে ছাত্রবাস থেকে বের হয়ে আমতলা মোড়ে গিয়েছিলাম। এসময় কয়েকজন দুর্বৃত্ত মোটরসাইকেলে করে এসে আমার মুঠোফোন ও ম্যানিবাগ কেড়ে নেয়। তাদের বাঁধা দিতে গেলে আমাকে ছুরিকাহত করে ও হকিস্টিক দিয়ে বেধম পেটায়।

পল্লীমঙ্গল উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণীর শিক্ষার্থী রাশেদ জানান, আমি স্কুল শেষ করে বাড়ি ফিরছিলাম। এসময় ১০ থেকে ১৫ জন যুবক দেশীর অস্ত্র ও হকিস্টিক হাতে আমাকে ডাক দেয়। তাদের কথা না শুনে পালানোর চেষ্টা করলে আমাকে ছুরিকাহত করে তারা। আমি তাদের কাউকেই চিনিনা।

বগুড়া সদর থানা পুলিশ সূত্রে জানাযায়, ছুরিকাহত চারজন শিক্ষার্থী কেউ কারও পূর্ব পরিচিত নয়। শুধু মাত্র ছিনতাইয়ের উদ্দেশ্য সংঘবদ্ধ এক কিশোর গ্যাং ঘটনাটি ঘটিয়েছে। তাদের কাছে দেশীয় অস্ত্র ও হকিস্টিক ছিল।

স্টেডিয়াম পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ (ইন্সপেক্টর) হরিদাস মন্ডল জানান, চার শিক্ষার্থী ছুরিকাহতের ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। জড়িত বাকিদের গ্রেপ্তার ও শনাক্তে অভিযান অব্যাহত আছে।

Please follow and like us:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

পুরানো সংবাদ