রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের কাছে নিজদের পরিচয়পত্র পেশ করেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত চার দেশের রাষ্ট্রদূত এবং তিন দেশের মনোনীত হাইকমিশনার।
সোমবার (৩০ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতির কাছে পরিচয়পত্র পেশ করেন তারা।
তাদের মধ্যে চার অনাবাসী রাষ্ট্রদূত হলেন, কিউবার আলেজান্দ্রো সিমানকাস মারিন, সার্বিয়ার সিনিসা প্যাভিক, মেক্সিকোর ফেদেরিকো সালাস লোটফি ও বেলজিয়ামের দিদিয়ের ভ্যান্ডারহাসেল্ট।
তিনজন অনাবাসিক হাইকমিশনার হলেন, ত্রিনিদাদ ও টোবাগোর ড. রজার গোপাঊল, ঘানার কোয়াকু আসোমাহ-চেরেমেহ ও কিংডম অব ইসওয়াতিনির মেনজি সিফো ডালমিনি।
বাংলাদেশে রাষ্ট্রদূতদের স্বাগত জানিয়ে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ বলেন, ঢাকার পররাষ্ট্রনীতি সবার সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক ও বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর গুরুত্ব দেয়।
বাংলাদেশ সবসময় বাণিজ্য ও বিনিয়োগের ক্ষেত্রে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক সম্প্রসারণকে অগ্রাধিকার দেয় বলেও জানান রাষ্ট্রপতি। ঢাকায় দায়িত্ব পালনকালে তাদের নিজ নিজ দেশের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও সম্প্রসারিত হবে বলেও আশা প্রকাশ করেন রাষ্ট্রপ্রধান।
বাংলাদেশকে বিপুল সম্ভাবনার দেশ উল্লেখ করে আবদুল হামিদ বাংলাদেশ ও সংশ্লিষ্ট দেশের মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্য সম্পর্ক জোরদারে সব ধরনের সম্ভাবনা কাজে লাগাতে রাষ্ট্রদূতদের প্রতি আহ্বান জানান।
এ ছাড়া বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের প্রশংসা করে নিজ নিজ দায়িত্ব পালনে বাংলাদেশ সরকারের সহযোগিতা কামনা করেন রাষ্ট্রদূতরা।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের সচিব সম্পদ বড়ুয়া, সামরিক সচিব মেজর জেনারেল এস এম সালাহ উদ্দিন ইসলাম, প্রেস সচিব মো. জয়নাল আবেদীন এবং সচিব সংযুক্ত মো. ওয়াহিদুল ইসলাম খান।
এর আগে, বঙ্গভবনে রাষ্ট্রদূতদের গার্ড অব অনার প্রদান করে প্রেসিডেন্ট গার্ড রেজিমেন্টের (পিজিআর) একটি চৌকস অশ্বারোহী দল। পরে রাষ্ট্রদূতরা সংস্কারকৃত বঙ্গভবনের তোষাখানা পরিদর্শন করেন।
