যমুনা নিউজ বিডিঃ ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর বিপুল ভোটে জাতীয় নির্বাচনে জয় পায় ক্ষমতাসীন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। এর এক বছর পূর্ণ উপলক্ষে দলটি ‘গণতন্ত্র বিজয় দিবস’ উদযাপন করে। এর অংশ হিসেবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশ থেকে বিজয় র্যালি বের করে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় সংসদ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ।
সোমবার (৩০ ডিসেম্বর) এই দিবস পালন ও ক্যাম্পাসে র্যালিটি বের করা হয়। এতে উপস্থিত ছিলেন- কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আল নাহিয়ান জয়, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য, ঢাবি ছাত্রলীগের সভাপতি সঞ্জিত চন্দ্র দাস, সাধারণ সম্পাদক ও ডাকসু এজিএস সাদ্দাম হোসেনসহ ছাত্রলীগের বিভিন্ন শাখার নেতাকর্মীরা। এ সময় সংগঠনের নেতাকর্মীরা আওয়ামী লীগকে অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, ‘শেখ হাসিনা বাংলার প্রত্যেকটি দিনমজুর মানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষার অগ্রপথিক। এই কারণে তার বিজয় পৃথিবীর ইতিহাসে নিরঙ্কুশ বিজয়।’ অনুষ্ঠানে বক্তব্য প্রদানকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি সঞ্জিত চন্দ্র দাস ডাকসুর সহসভাপতি নুরুল হক নুরের সংগঠনকে বাজেয়াপ্ত করে বলেন, ‘নুরুল হক ইতোমধ্যে তার কর্মকাণ্ডের মধ্য দিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে কলঙ্কিত করেছে। অভিনয় করতে হলে তাকে রঙ্গমঞ্চ-নাট্যমঞ্চে যেতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ে কোনো ধরনের অভিনয় চলবে না।’ তিনি আরও বলেন, ‘এই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা মূর্খ নয়। তারা নূরের অভিনয় বুঝতে পারেন। বাংলাদেশ ছাত্রলীগ যখন দেশরত্ন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বিভিন্ন কার্যক্রম হাতে নিয়ে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে, তখন জঙ্গিমাতা খালেদা জিয়া ও তারেক জিয়ার নেতৃত্বে মধুর ক্যান্টিনসহ বিভিন্ন জায়গায় তারা ককটেল ফাটিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে অপবিত্র করার অপচেষ্টায় লিপ্ত হয়েছে।’ তিনি বলেন, ‘আমাদের ভদ্রতার কিন্তু সীমা রয়েছে। আমাদের দুর্বল ভেবে ভুল করবেন না। আমরা মুজিব সৈনিক। আপনারা যদি গণতান্ত্রিক পরিবেশ চাইলে অভিনন্দন। তবে আপনাদের তো কোনো শিক্ষিত কিংবা গণতান্ত্রিক নেতা নেই, কিভাবে আপনারা গণতান্ত্রিক চর্চা করবেন। আপনাদের নেতা দিনে ঘুমায়, রাতে ভিডিও কলের মাধ্যমে রাজনৈতিক নির্দেশনা দেয়।’ এ সময় বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদকে শিবিরের ছাত্র সংগঠন আখ্যা দিয়ে ক্যাম্পাসে বাজেয়াপ্তের ঘোষণা করেন সনজিত চন্দ্র দাস। এছাড়া ক্যাম্পাসে কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করলে উপযুক্ত জবাব দেওয়ার জন্য শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগ কর্মীদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি। ছাত্রদলকে উদ্দেশ্য করে সঞ্জিত বলেন, ‘জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের হুঁশিয়ারি দিয়ে বলে দিতে চাই, ক্যাম্পাসে আর কোনো ককটেল বানানো রাজ্যের ঘটনা ঘটলে এবং ক্যাম্পাসে স্বাধীনতাবিরোধী কোনো শক্তির অবস্থান থাকলে শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগের নেতারা সেটার জন্য উপযুক্ত শাস্তি দিতে প্রস্তুত রয়েছে।’