বগুড়া নিউজ২৪ঃ হোম ভ্যেনুর সুযোগটা ভালো ভাবেই কাজে লাগাল চট্টগ্রাম। ঘরের মাঠে টানা তিন ম্যাচ খেলে তিনটিতেই জয় পেল স্বাগতিকরা। যার মধ্যে দুইটিতে ছিল দুইশ উর্দ্ব ইনিংস। বিপিএলের ইতিহাসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ও বঙ্গবন্ধু বিপিএলের সর্বোচ্চ স্কোর গড়ে ১৬ রানের ব্যবধানে কুমিল্লাকে হারিয়েছে তারা। এ জয়ে নিজেদের শীর্ষস্থান আরও পাকাপোক্ত করে নিল মাহমুদউল্লা-ইমরুলরা। ছয় ম্যাচের মধ্যে পাঁচটিতে জিতেছে সাগড় পাড়ের দলটি। যেখানে তাদের অর্জন ১০ পয়েন্ট।
শুক্রবার (২০ ডিসেম্বর) বঙ্গবন্ধু বিপিএলে টুর্নামেন্টের ১৪তম ম্যাচে মুখোমুখি হয় চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স এবং কুমিল্লা ওয়ারিয়র্স। টস হেরে প্রথমে ব্যাট করে ইমরুল কায়েসের, চ্যাডউইক ওয়ালটন ও আভিস্কা ফারনান্দোর ঝড়ো ইনিংসে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে ২৩৮ রান তোলে স্বাগতিকরা। এতে ওয়ারিয়র্সদের লক্ষ্য দাঁড়ায় ২৩৯ রান।
পাহাড় সমান লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে চট্টগ্রামের পেসার মেহেদী হাসান রানার তাণ্ডবে মাত্র ৩২ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে চরম বিপাকে পড়ে কুমিল্লা। এসময় অধিনায়ক শানাকাকে সঙ্গী করে ডেভিড মালান খেলেন এক ঝড়ো ইনিংস। তবে ৮৪ রানের ঝড় তুলে মালান আউট হওয়ার পর চাপে পড়ে যায় দলটি। অধিনায়ক শানাকা আউট হন ৩৭ রানে। এরপর কিছুটা জয়ের স্বপ্ন দিখিয়ে কুমিল্লার দর্শকদের শেষ পর্যন্ত হতাশ করে মাহিদুল। এতে ২২২ রানে থাকে কুমিল্লার ইনিংস। আর ফের ১৬ রানের জয় পায় চট্টগ্রাম। কুমিল্লা চার ম্যাচে দুই জয় ও দুই পরাজয়ে রয়েছে ৪ পয়েন্ট নিয়ে রয়েছে টেবিলের চতুর্থ স্থানে। চট্টগ্রামের পক্ষে মেহেদী হাসান রানা ৪টি, রুবেল, উইলিয়ামস ও মুক্তার আলী নেন একটি উইকেট। এর আগে ইমরুল কায়েসের ৬২, চ্যাডউইক ওয়ালটনের ৭১ ও আভিস্কা ফারনান্দোর ৪৮ রানের ওপর ভর করে রেকর্ড স্কোর গড়ে চট্টগ্রাম। যা যে কোনো বিপিএলের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সংগ্রহ। এর আগে বিপিএলের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সংগ্রহ ছিল ২৩৭ রান। তবে মাত্র ১ রানের জন্য সর্বোচ্চ রানের রেকর্ডটি ভাঙতে পারেনি চট্টগ্রাম। বিপিএলের ইতিহাসে এক ইনিংসে সর্বোচ্চ রান আসে ২৩৯। টস হেরে ব্যাট করতে নামা চ্যালেঞ্জার্সদের শুরুটা ভালো হয়নি। দলীয় ২১ রানের মাথায় ওপেনার লেন্ডল সিমন্সকে (১০) হারায় তারা। তৃতীয় উইকেট জুটিতে ঘুরে দাঁড়ায় স্বাগতিক চট্টগ্রাম। ইমরুল-ফারনান্দোর জুটিতে আসে ৮৫ রান। অর্ধশতকের খুব কাছে গিয়েও মাত্র দুই রানের জন্য তা পূরণ করতে পারেনি ফারনান্দো। সৌম্য সরকারের বলে ৩ চার আর ৩ ছক্কায় ৪৮ রানের ইনিংস খেলে সাব্বিরের তালুবন্দি হন ফারনান্দো। তবে অর্ধশতক তুলে ফিরেছেন চট্টগ্রামের অধিনায়ক ইমরুল। শানাকার শিকার হওয়ার পূর্বে ৪১ বলে ৯ চার ১ ছক্কায় খেলেন ৬২ রানের ইনিংস। আজও ব্যাট হাতে সফল হতে পারেননি নাসির। মাত্র ৩ রান করে সৌম্যর শিকার হন এই অলরাউন্ডার। নাসিরের বিদায়ের পর নুরুল হাসান সোহানকে সঙ্গী করে মাত্র ৩৪ বলে ৯৯ রানের জুটি গড়েন চ্যাডউইক ওয়ালটন। ওয়ালটন মাত্র ২৭ বলে ৫ চার আর ৬ ছক্কায় খেলেন ৭১ রানের ঝড়ো অপরাজিত ইনিংস। ১৫ বলে ২৯ রানে অপরাজিত থাকেন সোহানও। কুমিল্লার পক্ষে সৌম্য সরকার ২টি, মুজিব ও শানাকা একটি করে উইকেট নেন।